সেদিন জারুলতলায়
লিখেছেন লিখেছেন মামুন ১১ অক্টোবর, ২০১৪, ০২:০৭:৫৯ দুপুর
সেদিন জারুলতলায়
.
সেদিন সন্ধ্যায় একাকি
তোমার অপেক্ষায়,
ক্ষণে ক্ষনে উন্মাতাল বাতাসের ছুঁয়ে যাওয়া
উপভোগ করছি জারুল তলায়।
.
পরিচিত গাছগুলি ছায়া দিতে দিতে
অষ্টপ্রহরব্যাপী জমাট নির্বাক মৌনতায় চেয়ে রয়।
সবুজ ঘাসের বুকে কয়েকটি ঘাসফুল
ঝরাপাতার নীচ থেকে হেসে উঠে।
.
পেছনে বাতাস আর বাঁশঝাড়ের
গোপন কানাকানি... প্রগাঢ় মিলনের অস্ফুট বেদনাকে
উপেক্ষা করে উঁকি দেয়
রঙধনুর বৃত্তে আবৃত রুপালী চাঁদ!
.
হৃদয়ের গোপন তারে জেগে ওঠা
ভালোলাগার শ্বেতবিন্দুগুলো, ততক্ষনে
নিঃশ্বাসের উষ্ণতায়
মরুভূমির ক্যাকটাস সজীবতায় অধীর!
.
বিষন্ন একটি সন্ধ্যা
পায়ে পায়ে তোমার অপেক্ষায়, রাতের তারাদের
বুকে নিয়ে মিটিমিটি জ্বলে।
আর এই বুকে বিরহ, কামনার পেট্রোলে
ভেসে ভেসে জ্বলন্ত অঙ্গারকে চুম্বনে সিক্ত করে।
.
তৃষিত হৃদয়ের সেই দাবানলকে নেভাতে
দশদিক ছাপিয়ে মুহুর্তে নেমে আসে
লোনাজলের অবিরল ধারা।
আজ যে তুমি আসবে বলেছিলে!
কথা দিয়ে না রাখাটাই বুঝি চলতি ফ্যাশন?
বিষয়: সাহিত্য
৯৯৬ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
স্নিগ্ধতায় মোড়ানো মায়াবী বিকেলটা-
হটাতই কর্কষতায় বদলে যায় ,
দশদিক ছাপিয়ে ভস্ম করে দেয় দাবানলের
ভয়াবহ লেলিহান শিখা।
খুব সুন্দর লিখেছেন তো!!
আপনি কেন যে নিজের লিখা পোষ্ট করছেন না, বুঝি না।
অনুভূতি রেখে যাবার জন্য জাজাকাল্লাহ।
আপনাদের অসাধারণ নান্দনিকতার অনবদ্য লেখনী আমাকেও আকৃষ্ট করে কিছু লিখতে! কেন যে তা হয়ে উঠে না!!
উৎসাহের জন্য আপনাদের কেও অনেক জাযাকুমুল্লাহ......
তোমার অপেক্ষায়,
ক্ষণে ক্ষনে উন্মাতাল বাতাসের ছুঁয়ে যাওয়া
উপভোগ করছি জারুল তলায়।
আহ হোয়াট এ কবিতা! প্রাণ মনে যেন পেলো সজিবতা
আপনার ভালোলাগার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন, অনেক ভালো লাগলো জেনে।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
তবে আমার মনে হয়, আমাদের ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে- যার আসার কথা ছিল, তিনি না এসে উত্তম কাজ করেছেন। যদিও তাতে আবার ওয়াদাখেলাপ করার দায়ে দন্ডিত হবেন। তাই একেবারে প্রথমেই যা কিছু করা বা বলাটা ভেবে চিনতে করা-বলাই ভালো।
আপনার অনুভূতি রেখে যাবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
@মামুন ভাই- এমন ভাবলেন কেন??
আমি তো ধরেই নিয়েছিলাম যে,
আপনি যার কথা বলেছেন তিনি (ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বৈধভাবেই)একান্তই আপনার
ঘরের পেছনের বাগানে জারুলতলায় অভিসারে তো দোষ নেই- বরং খুবই সওয়াবের কাজ!
আপনি মন্তব্যের জবাবে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আমার কবিতাপাঠের মুডটাই এলোমেলো করে দিলেন-
আমি তো দুইযুগ আগের কোন এক রাতে চলে গিয়েছিলাম
যাক গে, কী আর করা
জাযাকুমুল্লাহ
আমি এই কবিতায় গতানুগতিক প্রেমিক-প্রেমিকাদের হৃদয়ের টানাপোরেন দেখাতে চেয়েছিলাম। যেখানে বিবাহি পুর্ববর্তী মেলামেশাটি কতটা হৃদয় পোরানোর কষ্ট দিয়ে থাকে। যদি বিয়ের পরে এই রোমান্টিসিজমে ভেসে যাওয়া হতো, তবে কি হৃদয় পোড়ানোর যাতনা ভোগ করতে হতো? আর ওয়াদা ভঙ্গ করবার মত গুনাহের কাজও হতনা।
আপনার কিবিতা পাঠের মুডকে নষ্ট করে দেবার জন আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
বেশ ভালো লাগলো।
অনেক দিন পরে আপনাকে পেলাম।
সুন্দর অনুভূতি রেখে গেলেন, অনেক ভালো লাগল।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
কেন যে আগের মত দেখিনা এখন
সেই হরফের যাদুকর-
আমাদের অতিচেনা প্রবাসী মজুমদার
মামুন ভাইতো একাই একশ'- মাশাআল্লাহ
আপনি সাথে হলে ব্লগটা আরো জমতো!
জাযাকুমুল্লাহ
আপনার কাছ থেকে 'চমৎকার' অনুভূতি লাভ করা সত্যিই বিরাট পাওনা।
আবু সাইফ ভাইয়ের এই কথার "সেই হরফের যাদুকর-
আমাদের অতিচেনা প্রবাসী মজুমদার " সাথে ১০০ ভাগ একমত। আপনার লিখার অপেক্ষায় রয়েছি।
সুন্দর অনুভূতি রেখে যাবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন